Tuesday, August 2, 2016

একটু শুনুন, একটু ভাবুন



একটু শুনুন, একটু ভাবুন
এম,আই আরমান

একটু শুনুন, একটু ভাবুন
একটু দেখুন, একটু লিখুন
একটু বুঝুন, একটু বুঝান
একে অপরকে ভালবাসুন ৷


আর যেন না রক্ত ঝরে
আর যেন না মানুষ মরে,
নিজে বাঁচুন মানুষ বাঁচান
মমতা দিয়ে দেশটা গড়ুন ৷


এদেশটাতো সব মানুষের
এদেশটাতো দিন মজুরের,
এদেশটাতো কৃষক, জেলে, তাঁতি,মাঝির
এদেশটাতো রক্তে কেনা বীর শহীদের ৷


রক্ত-প্রানের বিসর্জনে
এদেশ যারা গড়েছিলেন,
আজকে দেশের এ হাল হবে
তাঁরা কি কভু ভেবেছিলেন ৷


আজকে কেন বিভক্ত জাতী
কেন এত ক্ষমতার লড়াই,
কেন আমরা স্বাধীন দেশে
স্বাধীন ভাবে চলতে না পাই ৷


বলতে না পাই মনের কথা
লিখতে না পাই স্বাধীনতা,
বলতে গেলে দাবীর কথা
লংঘিত হয় মানবতা ৷


গুলি করে মারছো মানুষ
এটা কেমন স্বাধীনতা?
আমার দাবী অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান,
শিক্ষা আর চিকিৎসা সেবা
আমার দাবী ভোটের অধিকার ৷


যদি না পাই একটা কিছু
লাগবো আমি তোমার পিছু,
প্রয়োজনে জীবন দেবো
করবো নাকো মাথা নিচু ৷


আমার দাবী দাও বুঝিয়ে
নাহলে যাও ক্ষমতা ছেড়ে,
তানা হলে তোমার দিকে
আসতে আমি রবই তেড়ে ৷

Monday, February 23, 2015

গিভ এন্ড টেকের দুনিয়া


গিভ এন্ড টেকের দুনিয়ায় সব কিছুই ইনভেস্ট করা যায় ৷ একটু আগে ফুটপাতে হাটছিলাম অসাবধানতা বসত ধাক্কা লেগে গেল এক ভদ্রলোকের সাথে ৷ কাল বিলম্ব না করেই সরি বললাম ৷ তার দশ মিনিটও অতিবাহিত হয়নি ৷ একলোক ধাক্কা খেল আমার সাথে পড়ে গেল হাতে থাকা ডায়রিটা ৷ তিনিও কাল বিলম্ব না করেই বললেন সরি ৷ ইটস ওকে বলে চলে এলাম ৷ গুলশান এক নাম্বার গোল চত্তরের কিছুটা পুর্ব পাশে এসেই দেখি লোকজনের জটলা ৷ দুর থেকে দেখলাম এক সি এন জি ড্রাইভারকে মারলো এক মাইক্রোবাস ড্রাইভার ৷ সাথে সাথেই নিজের ইনভেষ্টমেন্ট ফেরত পেলেন ওই মাইক্রোবাস ড্রাইভার হয়তো সাথে কিছুটা প্রফিটও ৷ তাই বন্ধুগণ সতর্ক পদক্ষেপে চলুন ৷ চিন্তা ভাবনা করে ইনভেস্ট করুন জীবনের সবকিছু ৷ মুখ, হাত, মস্তিস্ক, অর্থ, সময় সবই হতে পারে মহামুল্যবান যদি সতর্কতার সহিত তাহা কাজে লাগাই তাহলে পজেটিভ রেজাল্ট আর অসতর্কতা ডেকে আনবেই নেগেটিভ রেজাল্ট ৷ সো বি কেয়ারফুল ৷

মরেও বেঁচে থাকেন যারা


মরেও বেঁচে থাকেন যারা *************** মরহুম খলিলুর রহমান সাহেব ৷ যিনি ছিলেন এক অসাধারন মানুষ ৷ যিনি ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর ৷ হাজারো সন্তানের সম্মানিত পিতা ৷ হাজারো সন্তান কেন বললাম হয়তো কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন ৷ তিনি হাজারো ইয়াতিমকে পিতার স্নেহ মাখা আদর ও শাসনে গড়ে গেছেন মানুষ হিসেবে ৷ তিনি একজন জেনারেল শিক্ষিত মানুষ হয়েও গড়ে তুলেছিলেন ঐতিহ্যবাহী একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান ৷ তিনি জীবনের সকল সম্পদ ঢেলে সাজিয়েছেন একটি কামিল মাদ্রাসা ৷ তিনি পৈতৃক সুত্রে পাওয়া একরে একর জমি বিক্রি করে ও নিজের সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ ব্যয় করে সাজিয়ে তুলেছেন একটি বিশাল এতিমখানা ৷ যার অক্লান্ত পরিশ্রম আর প্রচন্ড আবেগ মিশে আছে তার প্রতিষ্ঠিত কামিল মাদ্রাসা আর এতিমখানার প্রতিটি ইট, বালুতে ৷ আপনি যদি কখনো সেখানটায় যান দেখবেন প্রতিটি বালুকনা আপনাকে ডেকে বলছে মরহুমের কথা ৷ ইট, বালু গুলোও যেন ধন্য তার ছোয়ায় ৷ কত ইট বালুতো বড় বড় রাজপ্রাসাদ নির্মানে কাজে লাগে ৷ কিন্তু যেখানে গর্বের কিছুই থাকেনা ৷ গর্বতো সেখান যেখানে দেওয়া হয় কোরআন আর হাদিসের তালিম ৷ জীবনের সব কিছু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে বিলিয়ে দিয়েছেন যারা তাদেরই একজন মরহুম খলিলুর রহমান সাহেব ৷ যার জীবদ্দশায় প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে তার নামটি মাদ্রাসা বা এতিমখানার কোন নেমফ্লেটে লিখতে পারেনি কেউ ৷ জনাব আপনিতো চলে গেলেন কিন্তু নামটা আজ আমরা লাগিয়ে দিয়েছি ৷ ক্ষিপ্ত হবেননা আমরা আজও আপনাকে ভালবাসি যতদিন বেঁচে থাকি ততদিন বাসবো ৷ যদি ভুল করি তবে ক্ষমা করে দিবেন ৷ আসলে যখন প্রথম আপনার মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিলাম চিনতে পারিনি আপনাকে ৷ অন্তত ছয়মাসের পর জানতে পারলাম আমাদের মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আপনি ৷ আপনি কেন এতটা সহজ সরল জীবন যাপন করতেন ? আপনার সাজানো বাগানে ভ্রমর হয়ে গিয়েছিলাম মধু সংগ্রহ করতে ৷ জানিনা কতটুকু পেরেছি ৷ তবে একথা বলতে পারি আপনাকে দেখে অন্তত এতটুকু শিখেছি বিনম্র জীবন যাপন মানুষকে মানুষের চোখে বড় করে তোলে ৷ আপনার বিদায়ের পর তিনটি বছরও থাকতে পারলামনা আমরা সার্টিফিকেট দিয়ে বিদায় করে দিয়েছে হুজুররা ৷ যেদিন সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে বাড়ির পথে হেটেছিলাম কেন যেন মনটা বিচ্ছেদে হুহু করে কেঁদে উঠেছিল ৷ আজ আপনি জান্নাতের মেহমান হয়ে পাড়ি জমিয়েছেন ৷ কিন্তু আপনার বাগানের ফুল সুবাস ছডিয়েই চলছে অবিরত ৷ আপনি কি মধু আরোহী মৌমাছির আনাগোনা দেখতে পান? সেদিনের কথা কি করে ভুলে যাবো যেদিন ঝালমুড়ি ওয়ালা কাগজের ঠোঙ্গায় ঝালমুড়ি বিক্রী করছে ৷ আর আপনার আদরের কচি কাচা মৌমাছিরা খেয়ে খেয়ে ঠোঙ্গা ফেলে মাদ্রাসার আঙিনা নষ্ট করছিল ৷ আপনি কাউকে কিছু বলেননি নিজে হাতে সেগুলো পরিস্কার করেছিলেন ৷ ভীষন লজ্জা পেয়ে সেই ঝালমুড়ি ওয়ালা আমাকে ডেকে বলেছিল যদি না খেয়েও থাকি তবুও আর কখনো এখানটায় দারিয়ে দোকান করবোনা ৷ আপনি সবসময় অবনত মস্তকে হাটতেন তাই কি আজ আপনি এতো সন্মানিত ৷ আপনি দোয়া করবেন আমিও যেন বিনয়ী হতে পারি ৷

Monday, February 16, 2015

সেদিন কেঁদেছিলাম খুব -03

সেদিন কেঁদেছিলাম খুব -03 ************-******* বিমর্ষ হয়ে বসে আছে সুজন ৷ তুষার ডেকে বললো কি ব্যপার আংকেল কি ভাবছেন এত ৷ মনে হয় মনটা খুব খারাপ? চমকে উঠলো সুজন ৷ বললো নারে জীবনে মানুষ কত স্বপ্ন দেখে ৷ কত কল্পনা জমিয়ে রাখে ৷ আবেগ দিয়ে তৈরী করে স্বপ্নের তাজমহল ৷ সেখানে প্রেয়সীর ছোঁয়া অনুভব করে সুখ পায় ৷ কিন্তু বাস্তবতা বডই কঠিন ৷ যেখানে কল্পনার কোন স্থান নেই ৷ কল্পনা আর বাস্তবতার মাঝে যোজন যোজন ফারাক ৷ কত স্বপ্নই না ছিল আমার সেই হবে তোর কাকি কিন্তু সে আজ অন্যের ঘরনী ৷ স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি ওকে নিয়ে কত ৷ আমার স্বপ্ন সব ভেঙ্গে গেল হৃদয় হয়েছে ক্ষত ৷ তুই জানিস আমি কখনো ওকে কোন অভিশাপ দেইনি ৷ এই বিচ্ছেদটাকে নিয়তির লেখা হিসেবে মেনে নিয়েছি ৷ আর আমি কখনোই তাকে অভিশাপ দিতে পারবোনা ৷ সে যে আমার হৃদয়েরই অবিচ্ছেদ্য অংশ ৷ সে একটু ব্যথা পেলে আমি পাই তার দশগুণ ৷ ও ভাল থাকুক এটাই আমার একমাত্র কামনা ৷ ওর সুখই সুজনের সুখ ৷ ওকে কাঁদতে দেখলে সুজন সবচেয়ে বেশী ব্যথা পাবে ৷ ওকে ভালবেসেছি বেসে যাব চিরদিনই ৷ আমার ভালবাসা পবিত্র ৷ ওকে কখনো ছুঁয়ে দেখিনি ৷ নিরাপদ দুরত্বে থেকে ওর চুলের গন্ধ পেতাম নাকে ৷ সে কিযে অনুভুতি ৷ ছুয়ে দেখার চান্স ছিল ৷ কেউ দেখে ফেলার ভয়ও ছিলনা ৷ তবুও ছুইনি কোনদিনও ৷ যদি ছুঁই চিরদিনের বন্ধনে বেধেঁই ছোয়ার ইচ্ছে ছিল ৷ কিন্তু সে বন্ধনে আর জডানো হলো না আমার ৷ বুকটা মাঝে মাঝে চিনচিনিয়ে জলে উঠে প্রচন্ড আবেগে চোখ বেয়ে অশ্রুর প্লাবন হয় ৷ মনে হয় এখনই গিয়ে ওকে তুলে নিয়ে আসি ৷ তুইতো জানিস ওখানেও আমার কয়েকজন ফ্রেন্ড আছে ৷ ইচ্ছে করলে সব করতে পারি ৷ কিন্তু বিবেক কখনো সায় দেয়না ৷ মনে হয় বিধাতা কেন বিবেক আর প্রেম সবই দেয় ৷ আজকে কেন আমার বিবেক আর প্রেম মুখোমুখি অবস্থানে দারিয়ে ৷ বিবেকের চাহিদা প্রেমকে কেন অন্যের হাতে তুলে দেয় ৷ যদি কিছুটা সময়ের জন্য বিবেকহীন হতে পারতাম তাহলেতো ওকে ছিনিয়ে আনতে পারতাম ৷ বিবেকের আদালতে হেরেই আমি হারিয়েছি তাকে ৷ নাহয় কেউ তাকে আলাদা করতে পারতোনা আমার থেকে ও থাকতো আমারি ৷ হায়রে বিবেক তুই কেন এত ভাবিস ৷ তোর ভাবনাই যে আজ আমার প্রেয়সীকে নিয়ে গেছে অনেক দুরে ৷ তুই একটু ঘুমিয়ে থাকনা আমি আমার পাখিটাকে আমার করে নেই ৷ বিবেক ঘুমাবার নয় সুজন বিবেক তোর পাহারাদার ৷ বিবেকের পাহারায় তুই নিরাপদে ৷ পরিবারে, সমাজে, বন্ধুমহলে তোর যতটুকু মুল্যায়ন সেটা তোর বিবেকই তোকে গড়ে দিয়েছে ৷ তুই কি চাস শুধু তোর প্রেয়সীর জন্য সব ত্যাগ করতে ৷ পারবি তুই? হয়তো পারবি ৷ কিন্তু তুই কি একটুও ভেবেছিস তোর পাখিটা ওখানেই সুখে আছে এখন তোর কোন হস্তক্ষেপ হয়তোবা ওর সব সুখ কেরে নেবে ৷ প্রেয়সীর চোখের পানি তুই সহ্য করতে পারবিতো যদি পারিস তবে আমি বিবেক ছুটি নিলাম ৷মানুষের সবচেয়ে বড় পাহারাদার তার বিবেক ৷ বিবেকের অনুপস্থিতি মানুষকে হিংস্র হায়েনাতে পরিনত করে ৷ সুজন হিংস্র হায়েনা হতে চায়না ৷ সুজন একজন মানুষ হিসেবেই বাঁচতে চায় তাই আর বিবেককে ছুটি দিতে পারলনা সুজন ৷ সুজন সত্যিই সুজন ৷ সুজন মানে নাকি ভাল মানুষ ৷ সুজন নিজের নামের ওপর অবিচার করেনি কখনো ৷

মহান স্রষ্টার সৃষ্টির পরতে পরতে রয়েছে মানুষের জন্য নিদর্শন 2

মহান স্রষ্টার সৃষ্টির পরতে পরতে রয়েছে মানুষের জন্য নিদর্শন 2 ******************* কে বানালো এই পৃথিবী? কে বানালো চন্দ্র সুর্য? কে বানালো মানুষ, জিন ৷ কে বানালে জগতের সবকিছু ৷ কে বানালো সাগর, নদী? কে বানালো পাহাড়, টিলা? কে বানালো হাজার হাজার জীব? কেইবা বানালো মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ট জাতি ৷ আর তাঁর সৃষ্টির মধ্যে এতগ্রহ নক্ষত্র থাকতে ৷ কেনইবা আমাদের এই পৃথীবিতে ৷ সুর্যের মত কোটি কোটি নক্ষত্র আছে ৷ আর হয়তো সব নক্ষত্রের নিজস্ব অনেক গ্রহ উপগ্রহ আছে ৷ স্রষ্টা মহান তাঁর সৃষ্টিও অনেক বড় ৷ তাঁর যত সৃষ্টি তার মাঝে মানুষ শ্রেষ্ট ৷ কিন্তু আমরা মানুষই সবচেয়ে বেশী নাফরমানী করেন ৷ মহান প্রভু আমাদের দিয়েছেন অফুরন্ত নেয়ামত রাজি ৷ কিন্তু আমরা তার নেয়ামত ভোগ করেও তার নাফরমানীতেই থাকি ব্যস্ত থাকি ৷ আল্লাহ যেন আমাকে / আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করে ৷ আমাকে যেন তাঁর খাস গোলাম হিসেবে কবুল করেন ৷ আমাকে যেন প্রকৃত ইমানদার না বানিয়ে মৃত্যু না দেয় ৷ আমাকে যেন জান্নাতের পথের যাত্রী না বানিয়ে মৃত্য না দেয় ৷