Saturday, February 14, 2015

গল্প নয় বাস্তব সত্য 1

গল্প নয় বাস্তব সত্য 1 ============== বাঙ্গালী জাতীর সাধারন প্রবনতা ঝামেলা কঠিন না হলে মিমাংসা হয়না ৷ তাইতো আজ দেশের এমন হাল ৷ যদি আমরা মানবিকতার পরিচয় দিতে পারতাম তাহলে আজ দেশ এতোটা সংকটে পরতোনা ৷ আজ একে অপরকে মেরেই যেন শান্তি পাচ্ছে ৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও সার্টিফায়েড সন্ত্রাসীতে পরিনত করেছে ৷ তারা কোন কারন ছাড়াই মারছে মানুষ ৷ নিরীহ লোকদের তুলে নিয়ে চাঁদা দাবী করছে ৷ চাঁদা না পেলে খুন করে ক্রসফায়ার বলে চালিয়ে দিচ্ছে ৷ অথবা অস্বীকার ৷ কিন্তু আমাদের দরদী প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল দায়ভার নেওয়ার ঘোষনা করেছেন ৷ ও ম্যাডাম কতটা খুনের দায়ভার আপনি নেবেন? কতটা অপকর্মের দায়ভার আপনি বইতে পারবেন ৷ হয়তো অনেক পারবেন ৷ আপনার দায়ভার বহনের ক্ষমতা অনেক ৷ কিন্তু আপনি কি সঠিকভাবে জানেন আপনি দায়ভার নেওয়ার পর তাদের অপকর্ম কতগুন বেডেছে? হয়তো হা হয়তো না ৷ কিন্তু জনগন ঠিকই জানে ৷ এমনিতেই জনগনের জান মালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনগনকে হয়রানি করতে ব্যস্ত থাকে সর্বক্ষণ ৷ আবার আপনি দিয়েছেন দায়মুক্তি ৷ বছর দেরেক আগের কথা এক বড় ভাই খবর পেল তার আদরের ছোট ভাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে ৷ পাগলপ্রায় হয়ে ছুটে আসে সুদুর গ্রামের বাড়ি থেকে রাজধানী শহরে ৷ ছোট ভাইকে দেখতে রাত 11:30 যায় সংশ্লিষ্ট থানায় ৷ ছোট ভাইয়ের নাম ঠিকানা বলে দেখা করার অনুমতি চায় ৷ থানার তদন্ত কর্মকর্তা শুরু করে অচেনা একটা আঞ্চলিক ভাষায় গালাগাল ৷ ক্ষোভে কলজে ছিড়ে যাওয়ার উপক্রম তবুও আদরের ছোট ভাইয়ের সাথে দেখা করে একটু সাহস দেবে ভেবে চুপ মেরে গালাগাল সহ্য করেছে ৷ বলছে স্যার একটু খাবার এনেছি ভাইটির জন্য যদি একটু অনুমতি দিতেন ভাইটাকে খেতে দিতাম ৷ উত্তর পেল তোর ভাইকে ধরে আনার সময় যে খাবার দিয়েছি অনেকদিন আর খেতে হবে না ৷ কাটা মুরগীর মত ছটপট করতে লাগলো বড় ভাইয়ের মন নাজানি কতটা মেরেছে আমার ভাইটাকে ৷ তারপর কর্মকর্তা বলে তুই কি তোর ভাইকে ছারাবি দে দেড় লাখ টাকা দে ৷ 154 দিয়ে দেব কাল কোর্টে দু হাজার খরচ করলেই জামিন হয়ে যাবে ৷ বড় ভাই পকেট মানিব্যাগ সব হাতিয়ে হাজার দশ টাকা বের করে ৷ কর্মকর্তা বলে দেড় লাখ লাগবে নাহয় তোকেও ভিতরে ঢুকাইয়া দিমু ৷ বড় ভাই কাকুতি মিনতি করে বলে স্যার গতকাল আমার বাচ্ছা হইছে মেডিকেলের বিল দিতে টাকাটা ধার করে জোগাড় করছি সেটাই নিয়া আসছি আমার ভাইরে ছাইড়া দেন ৷ তখন টিভিতে চলছিল ফুটবল খেলা গোল হল বলে দেখতো গোলটা সুন্দর হইছেনা? হ স্যার ৷ ওই তুই কোনদল করস ? স্যার বার্সা ৷ কেন ?তুই মিউনিখ করবি আমি মিউনিখ করি ৷ মিউনিখ বুঝলিতো ? হ বুঝছি ব্রায়ান মিউনিখ ৷ স্যার আমার ভাইটারে ছাইড়া দেন ৷ কইছিনা দেড় লাখ নাহয় ভাগ দুরে যাইয়া মর কাছে মরলে, ,,,, বড় ভাই ব্যর্থ চলে যাচ্ছে ওই কোথায় যাস ৷ কইছিনা তোকেও, ,,, কেটে গেল তিন ঘন্টা ৷ অবশেষে কোথায় যেন গেল সুযোগে বড় ভাই ভাগল ৷ যদি আমিও আটক হই ভাইটার কি হবে ৷ বের হয়ে কাঁদছে অঝোর ধারায় আমার ভাইটাকে জালিমের কারাগারে রেখে আসলাম আল্লাহ তুমি হেফাজত করো ৷ কখন যে রাত পেরিয়ে সকাল হল টেরই পায়নি বড় ভাই ৷ ফজরের আযান হলে নামাজে গেল ৷ নামাজ শেষে পরিচিত বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় উকিল ঠিক করলো ৷ উকিল বললো এখন আটটা বাজে নয়টার মধ্যে ওর পরিক্ষার কাগজপত্র জন্মনিবন্ধন সহ এই কার্ডের ঠিকানায় আমার অফিসে দেখা করবেন ৷ ঠিক আছে বলে রিক্সা ডেকে রিক্সায় চেপে বসল বড় ভাই ৷ বৃষ্টি ঝরছে অঝোর ধারায় সাথে ভাইয়ের চোখের জল, মিলেমিশে একাকার ৷ ভাইয়ের মনে হচেছ তার দুখে বুঝি আকাশও কাঁদছে ৷ নয়টার কিছু পর কাগজ পত্রসহ উকিলের চেম্বারে হাজির হয় ভাই ৷ এইযে সব কাগজ এনেছি জামিন হবেতো আমার ভাইয়ের? হবে হবে হাজার তিনেক টাকা দেন ৷ আর আপনি হাজতের গেইটে থাকেন দেখন ও আসে কিনা ৷ আসলে জানাবেন ৷ ঠিক আছে কাগজ পত্র ভাল মত ঠিক করেন যাতে আমার ভাইয়ের জামিন হয় ৷ ততক্ষনে কয়েকজন শুভাকাংখী চলে আসে ৷ বাকীটা পরে লিখছি, উপন্যাস নয় আমার জীবনের বাস্তবতা ৷

No comments:

Post a Comment