Monday, February 23, 2015
গিভ এন্ড টেকের দুনিয়া
মরেও বেঁচে থাকেন যারা
Monday, February 16, 2015
সেদিন কেঁদেছিলাম খুব -03
সেদিন কেঁদেছিলাম খুব -03
************-*******
বিমর্ষ হয়ে বসে আছে সুজন ৷ তুষার ডেকে বললো কি ব্যপার আংকেল কি ভাবছেন এত ৷ মনে হয় মনটা খুব খারাপ? চমকে উঠলো সুজন ৷ বললো নারে জীবনে মানুষ কত স্বপ্ন দেখে ৷ কত কল্পনা জমিয়ে রাখে ৷ আবেগ দিয়ে তৈরী করে স্বপ্নের তাজমহল ৷ সেখানে প্রেয়সীর ছোঁয়া অনুভব করে সুখ পায় ৷ কিন্তু বাস্তবতা বডই কঠিন ৷ যেখানে কল্পনার কোন স্থান নেই ৷ কল্পনা আর বাস্তবতার মাঝে যোজন যোজন ফারাক ৷ কত স্বপ্নই না ছিল আমার সেই হবে তোর কাকি কিন্তু সে আজ অন্যের ঘরনী ৷ স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি ওকে নিয়ে কত ৷ আমার স্বপ্ন সব ভেঙ্গে গেল হৃদয় হয়েছে ক্ষত ৷ তুই জানিস আমি কখনো ওকে কোন অভিশাপ দেইনি ৷ এই বিচ্ছেদটাকে নিয়তির লেখা হিসেবে মেনে নিয়েছি ৷ আর আমি কখনোই তাকে অভিশাপ দিতে পারবোনা ৷ সে যে আমার হৃদয়েরই অবিচ্ছেদ্য অংশ ৷ সে একটু ব্যথা পেলে আমি পাই তার দশগুণ ৷ ও ভাল থাকুক এটাই আমার একমাত্র কামনা ৷ ওর সুখই সুজনের সুখ ৷ ওকে কাঁদতে দেখলে সুজন সবচেয়ে বেশী ব্যথা পাবে ৷ ওকে ভালবেসেছি বেসে যাব চিরদিনই ৷ আমার ভালবাসা পবিত্র ৷ ওকে কখনো ছুঁয়ে দেখিনি ৷ নিরাপদ দুরত্বে থেকে ওর চুলের গন্ধ পেতাম নাকে ৷ সে কিযে অনুভুতি ৷ ছুয়ে দেখার চান্স ছিল ৷ কেউ দেখে ফেলার ভয়ও ছিলনা ৷ তবুও ছুইনি কোনদিনও ৷ যদি ছুঁই চিরদিনের বন্ধনে বেধেঁই ছোয়ার ইচ্ছে ছিল ৷ কিন্তু সে বন্ধনে আর জডানো হলো না আমার ৷ বুকটা মাঝে মাঝে চিনচিনিয়ে জলে উঠে প্রচন্ড আবেগে চোখ বেয়ে অশ্রুর প্লাবন হয় ৷ মনে হয় এখনই গিয়ে ওকে তুলে নিয়ে আসি ৷ তুইতো জানিস ওখানেও আমার কয়েকজন ফ্রেন্ড আছে ৷ ইচ্ছে করলে সব করতে পারি ৷ কিন্তু বিবেক কখনো সায় দেয়না ৷ মনে হয় বিধাতা কেন বিবেক আর প্রেম সবই দেয় ৷ আজকে কেন আমার বিবেক আর প্রেম মুখোমুখি অবস্থানে দারিয়ে ৷ বিবেকের চাহিদা প্রেমকে কেন অন্যের হাতে তুলে দেয় ৷ যদি কিছুটা সময়ের জন্য বিবেকহীন হতে পারতাম তাহলেতো ওকে ছিনিয়ে আনতে পারতাম ৷ বিবেকের আদালতে হেরেই আমি হারিয়েছি তাকে ৷ নাহয় কেউ তাকে আলাদা করতে পারতোনা আমার থেকে ও থাকতো আমারি ৷ হায়রে বিবেক তুই কেন এত ভাবিস ৷ তোর ভাবনাই যে আজ আমার প্রেয়সীকে নিয়ে গেছে অনেক দুরে ৷ তুই একটু ঘুমিয়ে থাকনা আমি আমার পাখিটাকে আমার করে নেই ৷ বিবেক ঘুমাবার নয় সুজন বিবেক তোর পাহারাদার ৷ বিবেকের পাহারায় তুই নিরাপদে ৷ পরিবারে, সমাজে, বন্ধুমহলে তোর যতটুকু মুল্যায়ন সেটা তোর বিবেকই তোকে গড়ে দিয়েছে ৷ তুই কি চাস শুধু তোর প্রেয়সীর জন্য সব ত্যাগ করতে ৷ পারবি তুই? হয়তো পারবি ৷ কিন্তু তুই কি একটুও ভেবেছিস তোর পাখিটা ওখানেই সুখে আছে এখন তোর কোন হস্তক্ষেপ হয়তোবা ওর সব সুখ কেরে নেবে ৷ প্রেয়সীর চোখের পানি তুই সহ্য করতে পারবিতো যদি পারিস তবে আমি বিবেক ছুটি নিলাম ৷মানুষের সবচেয়ে বড় পাহারাদার তার বিবেক ৷ বিবেকের অনুপস্থিতি মানুষকে হিংস্র হায়েনাতে পরিনত করে ৷ সুজন হিংস্র হায়েনা হতে চায়না ৷ সুজন একজন মানুষ হিসেবেই বাঁচতে চায় তাই আর বিবেককে ছুটি দিতে পারলনা সুজন ৷ সুজন সত্যিই সুজন ৷ সুজন মানে নাকি ভাল মানুষ ৷ সুজন নিজের নামের ওপর অবিচার করেনি কখনো ৷
মহান স্রষ্টার সৃষ্টির পরতে পরতে রয়েছে মানুষের জন্য নিদর্শন 2
মহান স্রষ্টার সৃষ্টির পরতে পরতে রয়েছে মানুষের জন্য নিদর্শন 2
*******************
কে বানালো এই পৃথিবী? কে বানালো চন্দ্র সুর্য? কে বানালো মানুষ, জিন ৷ কে বানালে জগতের সবকিছু ৷ কে বানালো সাগর, নদী? কে বানালো পাহাড়, টিলা? কে বানালো হাজার হাজার জীব? কেইবা বানালো মানুষকে সৃষ্টির শ্রেষ্ট জাতি ৷ আর তাঁর সৃষ্টির মধ্যে এতগ্রহ নক্ষত্র থাকতে ৷ কেনইবা আমাদের এই পৃথীবিতে ৷ সুর্যের মত কোটি কোটি নক্ষত্র আছে ৷ আর হয়তো সব নক্ষত্রের নিজস্ব অনেক গ্রহ উপগ্রহ আছে ৷ স্রষ্টা মহান তাঁর সৃষ্টিও অনেক বড় ৷ তাঁর যত সৃষ্টি তার মাঝে মানুষ শ্রেষ্ট ৷ কিন্তু আমরা মানুষই সবচেয়ে বেশী নাফরমানী করেন ৷ মহান প্রভু আমাদের দিয়েছেন অফুরন্ত নেয়ামত রাজি ৷ কিন্তু আমরা তার নেয়ামত ভোগ করেও তার নাফরমানীতেই থাকি ব্যস্ত থাকি ৷ আল্লাহ যেন আমাকে / আমাদেরকে সহীহ বুঝ দান করে ৷ আমাকে যেন তাঁর খাস গোলাম হিসেবে কবুল করেন ৷ আমাকে যেন প্রকৃত ইমানদার না বানিয়ে মৃত্যু না দেয় ৷ আমাকে যেন জান্নাতের পথের যাত্রী না বানিয়ে মৃত্য না দেয় ৷
জীবনের বাঁকে বাঁকে কত স্মৃতি জমে থাকে
জীবনের বাঁকে বাঁকে কত স্মৃতি জমে থাকে
**************************************
আজো ভুলে যাইনি, হয়তো ভুলবোনা কোনদিনও ৷ জীবনে ঘটে যাওয়া এমন হাজারটা গল্প বলা হয়নি আজো ৷ সেই ছোটবেলা, সেই সকালের মক্তবে যাওয়া, স্কুলে যাওয়া আর বিকালে খেলার মাঠে ৷ সন্ধায় ওস্তাদের সামনে পড়তে বসে ঝিমানো ৷ কখনো মায়ের শাসন বাবার আদর আবার কখনওবা বাবার শাসন মায়ের আদর ৷ পড়ালেখার ফাকে আনলিমিটেড দুষ্টুমি আর হাত পেতে বেত্রাঘাত সহ্য করা ৷ এরকমের হাজারো স্মৃতির কথা আজও মনে আছে ৷ যখন বড় হয়েছি বুঝতে শিখেছি তখনকার কত স্মৃতি কখনো সুখের কখনোবা দুখের ৷ ছাত্রাবাসের জীবন সেখানে বন্ধুদের সাথে একসাথে থাকা দুষ্টুমী করা হাসিখুশি জীবন ৷ কত মধুর স্মৃতি, কত পাগলামি ৷ কখনো কোন বন্ধুর সাথে টুকটাক ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়া ৷ আবার ভুল বুঝতে পেরে সরি বলা এ সবই জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ ৷ এর মাঝে জমে থাকে কত রঙ্গের স্মৃতি ৷ কত দুঃখ বেদনা, কত হাসি আনন্দ ৷ আমার জীবনের যত দুষ্টামি, পাগলামি , হাসি আর কান্নার গল্প গুলো লিখবো ধীরে ধীরে ৷ হয়তো ভাল লাগবে আপনার হয়তোবা মন্দ ৷ লিখবো কি বন্ধু? যদি বলেন তবে লিখি......
Subscribe to:
Posts (Atom)